ঢাকা , বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫ , ১৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
ইশরাক-কায়কোবাদের বিরুদ্ধে প্রোপাগাণ্ডা ছড়ানোর অভিযোগ করেছে আসিফ প্রতীকী মূল্যে সরকারি সম্পত্তি কাউকে দেওয়া হবে না-অর্থ উপদেষ্টা আমরা সংস্কারকে ভয় পাই না স্বাগত জানাই-মির্জা ফখরুল মবতন্ত্র দেশকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিচ্ছে-গণসংহতি প্রেস কাউন্সিলে নতুন কমিটি, ১২ জনকে অন্তর্ভুক্ত বাস-ট্রাক চালকদের ভালো স্বাস্থ্য আমাদের সবার জন্য জরুরি ডানপন্থী রাজনীতিতে বেড়েছে দৃশ্যমানতা জুলাই শুধু স্বৈরাচার মুক্তির মাস নয়, এটা পুনর্জন্মের মাস : প্রধান উপদেষ্টা পুঁজিবাজারে কোটি টাকা হিসাবধারীর সংখ্যা বেড়েছে জলবায়ু পরিবর্তন-খাদ্য সংকটে হুমকিতে সুন্দরবনের বাঘ জুলাই সনদের খসড়ায় আপত্তি জানিয়েছে এনসিপি-জামায়াত বিচার নিয়ে আমাদের আন্তরিকতায় সন্দেহ রাখবেন না -আইন উপদেষ্টা নৈরাজ্যের শঙ্কা দেশজুড়ে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি ১৬০ দিন পর কুয়েটে ক্লাস শুরু বাড়ছে কাপ্তাই হ্রদের পানি, ডুবছে ঝুলন্ত সেতু ৯ জন উদ্ধার হলেও এখনও নিখোঁজ ৬ ‘খোলা জানালা’ সেবা চালু করেছে ‘ডিআরইউ’ বগুড়ায় কার্গো সার্ভিস প্রতিষ্ঠানের অফিসে ডাকাতি সাড়ে ১৭ লাখ টাকা লুট ৩৯৩ ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি মৃত্যু একজনের ম্যানহোলে পড়ে নিখোঁজ নারীর লাশ ৩৬ ঘণ্টা পর উদ্ধার

যেকোনো উপায়ে থামাতে হবে চিকিৎসা ক্ষেত্রে বাণিজ্য

  • আপলোড সময় : ০৪-০৫-২০২৪ ১১:০৪:৫৯ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৪-০৫-২০২৪ ১১:০৪:৫৯ অপরাহ্ন
যেকোনো উপায়ে থামাতে হবে চিকিৎসা ক্ষেত্রে বাণিজ্য


চিকিৎসকরা সেবার মানসিকতা নিয়ে রোগীর চিকিৎসা করবেন-এটাই নিয়ম। রোগীকে তারা সারিয়ে তুলবেন, এটাই হওয়া উচিত তাদের ব্রত কিন্তু দেখা যাচ্ছে অধিকাংশ চিকিৎসকই রোগী দেখছেন ব্যবসায়িক মনোবৃত্তি নিয়ে। মানুষের অসহায়ত্বকে পুঁজি করে সারাদেশে চিকিৎসার নামে চলছে ভয়াবহ প্রতারণা। দেশের সরকারি হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসাসেবায় নেই মানবিকতা। দখল করে নিয়েছে বাণিজ্য। কারণে সরকারি নানা সুবিধা থাকা সত্ত্বেও বঞ্চিত হচ্ছেন রোগীরা। অনাস্থায় হাজার হাজার রোগী যাচ্ছে দেশের বাইরে। যাদের টাকা আছে তারা দেশের বাইরে যাওয়ার পাশাপাশি রাজধানীর নামিদামি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিতে পারছেন। তবে সেখানেও আছে গলাকাটা বাণিজ্য। আর যাদের টাকা নেই, তারা মানহীন বেসরকারি হাসপাতাল ক্লিনিকে ভুল চিকিৎসায় অঙ্গহানি-প্রাণহানির শিকার হচ্ছেন। পাশাপাশি সারাদেশে ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে উঠছে নামে-বেনামে ক্লিনিক ডায়াগনস্টিক সেন্টার। সেই সঙ্গে কমিশন বাণিজ্যে ক্রমাগত বাড়ছে চিকিৎসা ব্যয়। এক প্রতিবেদনে দেখা যায় বর্তমান একজন রোগীর মোট চিকিৎসা ব্যয়ের ৬৪ দশমিক শতাংশই ওষুধ ক্রয়ে খরচ হচ্ছে। এতে বিপর্যয়মূলক স্বাস্থ্য ব্যয়ের মুখোমুখি হয়ে বছরে ৮৬ লাখ মানুষ দারিদ্রসীমার নিচে নেমে যাচ্ছেন। এই ধারা বন্ধ না হলে ভবিষ্যতে অচিরেই অপ্রত্যাশিত রোগব্যাধি মৃত্যু বাড়বে। অন্য এক গবেষণায় দেখা যায় মেডিকেল কলেজসহ সরকারি বিভিন্ন হাসপাতালে এমআরআই, সিটি স্ক্যান, এক্সরেসহ বিভিন্ন যন্ত্রপাতি বিকল হয়ে পড়ে থাকার নেপথ্যেও রয়েছে এই কমিশন বাণিজ্যে। বেশিরভাগ সময়ই দেখা যাচ্ছে সরকারি হাসপাতালে এসে ডাক্তারের কাছে গেলে রোগীদের প্রয়োজন ছাড়াই বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যবস্থাপত্র ধরিয়ে দেয়া হচ্ছে। শুধু তাই নয়, ডাক্তার নির্দিষ্ট করে বলে দিচ্ছেন কোন প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষাগুলো করাতে হবে। আবার অনেক সময় দেখা যাচ্ছে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধিরা প্রকাশ্যে হাসপাতালের কম্পাউন্ড থেকে রোগীদের ধরে নিয়ে যাচ্ছে নিজ নিজ ক্লিনিকে। মূলত দেশের প্রচলিত স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় ডাক্তাররা কোন ধরনের রোগীকে কী রোগের জন্য কী পরীক্ষা-নিরীক্ষা দিচ্ছেন, পরীক্ষার আদৌ প্রয়োজন রয়েছে কী না তা দেখতে অডিট শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না থাকায় এক শ্রেণির চিকিৎসক এমন দুঃসাহস দেখাচ্ছে। মানসম্পন্ন প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার জন্য প্রতি ১০ হাজার মানুষের জন্য চিকিৎসক, নার্সসহ ২৩ জন স্বাস্থ্যকর্মীর একটি দল থাকা দরকার। কিন্তু দেশের প্রতি ১০ হাজার মানুষের জন্য দশমিক জন স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছেন। আর এই সঙ্কটের বেশিরভাগই হলো সরকারি হাসপাতালগুলোতে। সরকারি হাসপাতাল স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসকের অনুপস্থিতি মানসম্পন্ন সেবার ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। দেখা যায়, প্রতিবছর নানা অজুহাতে ৪০ শতাংশ চিকিৎসক অনুপস্থিত থাকে। তাই সরকারকে এখনি ভুয়া হাসপাতাল, অসাধু চিকিৎসক চিহ্নিত করে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। বন্ধ করতে হবে স্বাস্থ্যসেবার নামে গড়ে ওঠা অমানবিক বাণিজ্যিক ব্যবস্থা। সরকারি চিকিৎসকদের প্রাইভেট প্র্যাকটিস বন্ধ করে তাদের জন্য নন প্র্যাকটিসিং অ্যালাওন্সের ব্যবস্থা করতে হবে। চিকিৎসা ক্ষেত্রে টেস্ট বাণিজ্য বন্ধ করতে হবে, শুধু দরকারই রোগীকে টেস্ট দিতে হবে। হাসপাতাল-ক্লিনিকের মতো সেবা খাত যেন আর অবৈধ, ভুয়া ব্যক্তির দখলে না থাকে এবং স্বাস্থ্যসেবার মান নিয়ে যেন কোনো প্রশ্ন না ওঠে তার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা নেবে এটাই দেশের সাধারণ মানুষদের প্রত্যাশা।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স
প্রতিবেদকের তথ্য